কলাপপাড়া প্রতিনিধি ॥ কলাপাড়ায় সরকারী খাস জমিসহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমি দখল ও বিক্রি করছে একদল দুস্কুতিকারী ও প্রভারশালী চক্র। জনপ্রতিনিধিসহ স্থানীয়দের অভিযোগ বড় ভাই মুক্তিযোদ্ধা অহিদুল আলম তালুদারের বন্দোবস্ত প্রাপ্ত দেড় একর জমির কাগজ দেখিয়ে এসব জমি বিক্রি করছেন ছোটভাই জহিরুল আলম তালুকদার। অপরদিকে জহিরুল আলম তালুকদারের দাবী স্থানীয় প্রভাবশালী চক্র বন্দোবস্তকৃত এই জমি দখলের জন্য তাদের নানাভাবে হয়রানি করে আসছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মুক্তিযোদ্ধা অহিদুল আলম তালুকদার লালুয়া ইউনিয়নের চান্দুপাড়া মৌজার ৩৬৬ নং খতিয়ানের ১৪৮৬ নম্বর দাগে দেড় একর বন্তোবস্ত হিসাবে প্রাপ্ত হন। মুক্তিযোদ্ধা বাজারের উত্তর পার্শ্বের এই জমি প্লট আকারে বিক্রি করছে ছোটভাই জহিরুল আলম তালুকদার। প্রতিটি প্লট ২ থেকে সাড়ে ৩ লক্ষ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। আলাউদ্দিন ফরাজী, সজীব ফরাজী, ইলিয়াস হাওলাদার, রেজাউল মাঝি, শাহাবৃুদ্দিন মাঝি, দুলাল হাওলাদার, হাবিব হালদারাসহ ৭/৮জন এসব প্লট ক্রয় করে টিনশেড ঘর উত্তোলন করেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমি দখল করে বিক্রি করতে গেলে বাঁধা দেয় স্থানীয়রা।
মঞ্জুপাড়া গ্রামের জলিল গাজী বলেন, অহিদুল আলম তালুকদারের বন্দোবস্তকৃত দেড় একর জমি অন্যত্র হলেও বাজারের সাথে দেখিয়ে অবাধে বিক্রি করছেন। এনিয়ে প্রতিবাদ করতে গেলে একই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মাসুদসহ ৬জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন জহিরুল আলম তালুকদার।
লালুয়া ইউপি পরিষদ সদস্য মাসুদ বলেন, সরকারী জমি দখল ও বিক্রির বিষয়টি নিয়ে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করলে ওই জমিতে ঘর তোলাসহ বিক্রি করতে নিষেধ করা হয়। কিন্ত এ নির্দেশ আমলে না নিয়ে জহিরুল আলম তালুকদার জমি বিক্রি করে যাচ্ছেন। বাজারের সৌন্দর্যহানিসহ বিশৃঙ্খলা সৃস্টি করছেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ড কলাপাড়া সার্কেলের উপ-সহকারী প্রকৌশলী তাজুল ইসলাম এ প্রতিবেদককে বলেন, সরজমিনে গিয়ে জহিরুল আলম তালুকদারকে ঘর উত্তোলনে নিষেধ করে দেয়া হয়েছে। কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদুল হক সাংবাদিকদের বলেন, বিষযটি সাংবাদিক এবং বিভিন্ন মহল থেকে আমি জানতে পেরেছি। দ্রুত তদন্ত করে আইন-অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply